

অসীম কুমার সরকার, তানোর (রাজশাহী) সংবাদদাতা: ‘হঠাৎ বিকট গঁন্ধ নাকে বিঁধে। অফিস রুমে চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। কিন্তু কিছুই মিলল না। তারপর বসার সোফার নিচে দেখা মিললো দু’টি লক্ষ্মীছানা নিয়ে বসে বড় একটি লক্ষ্মীপেঁচা। ছানা দু’টির চোখ ফোঁটেনি। পরে একটা ছোট্ট কাটনবক্সে খড় দিয়ে ওদের রেখে দিই সোফার পাশে। দু’সপ্তাহ পর ছানা দু’টির চোখ ফোঁটেছে। এখন ওরা বেশ বড় হয়েছে।’
এমনভাবেই লক্ষ্মীপেঁচা ও তার দু’টি ছানার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: নাসরিন বানু।
সরেজমিন বুধবার বিকেলে তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, চোখফোঁটা বাচ্চা দু’টি ইউএনও হাতে নিয়ে পরম মমতায় আদর করছেন। এখন লক্ষ্মীপেচাঁটি বাচ্চা দু’টোকে নিয়ে জানালার ফাঁকে বাসা বেঁধেছে।
এ নিয়ে জাতীয় পরিবশে পদক প্রাপ্ত কৃষক মো: ইউসুফ আলী মোল্লা জানান, ইউএনও মহোদয়ের এমন পাখিপ্রেম আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমরা প্রত্যেকে যদি পাখির প্রতি এমনভাবে ভালবাসা নিজের জায়গা থেকে প্রকাশ করতে পারি তাহলে শুধু পাখিকুল না, প্রাণ-প্রকৃতি বৈচিত্র্য রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা: নাসরিন বানু বলেন, আমি নিজেই প্রাণিবিদ্যা বিভাগে পড়াশুনা করেছি। তাই পাখির প্রতি আমার মমত্ববোধ অনুভব করেছি ভেতর থেকে। লক্ষ্মীছানা দু’টি আমাকে আরও আকুলিত করেছে। তাই তাদের থাকার জন্য সোফার পাশে কাটুনে খড় দিয়ে ব্যবস্থা করেছি।