

সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা- মোবাইল কোর্টে সাজা দেওয়ার পর কয়েকমাস পেরিয়ে গেলেও সার্টিফায়েড কপি না দেওয়ায় র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে আগামী ১ ডিসেম্বর তাকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে র্যাব সদর দফতরে গত ১৮ জুলাই দেওয়া ৪৪০/২০১৯ নম্বর মামলার আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ওই আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সাত দিনের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. সাখাওয়াত হোসাইন খান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এ বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার সাখাওয়াত হোসাইন খান জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বটতলা খাল পাড়ের তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মিজান মিয়াকে মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন-২০১০-এর অধীনে গত ১৮ জুলাই এক বছরের সাজা দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবী অঞ্জন দাসের মাধ্যমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলের জন্য আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আপিলও করতে পারেনি মিজান মিয়া। আপিল করা করা আবেদনকারীর মৌলিক অধিকার।