

সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্কঃ খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলের সর্বস্তরে আন্দোলন কর্মসূচির দাবি থাকলেও এর ঘোষণা না আসায় নেতাকর্মীরা নীতিনির্ধারকদের বাড়ি ঘেরাও করছে না কেন, এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম।
গয়েশ্বর বলেন, সবাই আন্দোলনের কথা বলছেন, আমরা নেতারা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারছি না। তাহলে আপনারা আমাদের কথা শুনছেন কেন? আপনারা আমাদের বাড়িঘর ঘেরাও করছেন না কেন?
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, আমরা সবাই কথার ফুলঝুরি দিয়ে নেতাদের খুশি করতে চাই। বেগম জিয়া আমাদের নেত্রী, তিনি কারাগারে গেলেন আর সেদিন আমরা কয়েক হাজার নেতাকর্মী জেলে গেলাম না তাহলে আমরা তাকে নেত্রী হিসেবে কোন স্থানে রাখলাম? তিনি বলেন, আমরা কেউ মৃত্যু থেকে বাঁচতে পারবো না। কখন কার মৃত্যু হবে তা সৃষ্টকার্তা ভালো জানেন। তাই আসুন জেলের ভয় না পেয়ে ৭১ এর মত ডু অর ডাই আন্দোলন করি। বেগম জিয়াকে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করি। এটাই হবে তার জন্য সন্মানের মুক্তি।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা নেতা হওয়ার পেছনে যার অবদান তার জন্য কি আমাদের কিছু করার নেই? যদি থাকে তাহলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আমরা যারা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না, এটা হচ্ছে আমাদের অপরাধ। তিনি বলেন, আমাদের ইস্যু হচ্ছে গণতন্ত্রের মুক্তি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। এই দুটি দিক যদি আমরা ঠিক করতে পারি তাহলেই সফল হবো। একজন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, এই সরকারকে যাওয়ার পথ খুঁজতে হবে। সরকার যেই ঋণ করেছে যাওয়ার পর এই ঋণের বোঝা জনগণের মাথার উপরে ভর করবে। এই সরকার যাওয়ার পর যারা সরকার গঠন করবে তাদের দেশ চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।
সম্মিলিত ছাত্র ফোরামের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায়েআরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবেরা নাজমুল মুন্নী, কৃষক দলের নেতা এম জাহাঙ্গীর আলম, জাসাস নেত্রী চিত্রনায়িকা শাহরিয়া ইসলাম শায়লা প্রমুখ।