

সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকাঃ র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আহসানউল্লাহ ও সোহরাওয়ার্দী আবাসিক হলের ৯ ছাত্রকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- সৌম্যসাচী দাস দিব্য, সৌমিত্র লাহিড়ি, প্লাবন চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, অর্ণব চৌধুরী, মো. ফরহাদ হোসেন, মোবাসসের হোসেন শান্ত, এএসএম মেহেদি হাসান এবং আকিব হাসান রাফিন। এদের মধ্যে ছয় জন আহসান উল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও তিন জন সোহরাওয়ার্দী হলের।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে বুয়েট ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানান।
এছাড়া, বিভিন্ন সময়ে র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে আরও ১৭ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার এবং চারজনকে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিভিন্ন মেয়াদে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- কাজি গোলাম কিবরিয়া রিফাত, মো. সাকিব হাসান, মো. সাজ্জাদুর রহমান, সাকিব শাহরিয়া, শেখ আসিফুর রহমান আকাশ, মো. রাইয়ান তাহসিন, মেহেদী হাসান, তৈয়ব হোসেন, এএফএম মাহফুজুল কবির, মো. বখতিয়ার মাহবুব মুরাদ, সৈয়দ শাহরিয়ার আলম প্রত্যয়, মো. তৌফিক হাসান, মো. কুতুবুজ্জামান কাজল, মোহাম্মদ তাহমিদুল ইসলাম, ফেরদৌস হাসান ফাহিম, মো. আল-আমিন ও তাহাজিবুল ইসলাম।
এছাড়া মো. তাসনিম ফারহান ফাতিন, লোকমান হোসেন, শাফকাত বিন জাফর ও তানজির রশিদ আবিরকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্কীকরণ করা হয়েছে।
র্যাগিং বন্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েটের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটি এই শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মিজানুর রহমান৷
উল্লেখ্য গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছেন শিক্ষার্থীরা।
ফাহাদ হত্যার বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনের একপর্যায়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে প্রশাসনকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি পূরণের শর্ত দেন। সেই তিন শর্তের দ্বিতীয়টি ছিল বুয়েটের আহসানউল্লাহ, সোহরাওয়ার্দী ও তিতুমীর হলে আগে ঘটে যাওয়া র্যাগিংয়ের ঘটনাগুলোতে জড়িতদের বিচার ও শাস্তি।