
খাদেমুল ইসলাম মামুন, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুরে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) হাবিবুর রহমান হাবি নামের এক যুবক জ্বর, কাশি আর গলাব্যথায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
যার ফলে, করোনা সন্দেহে মধুপুর মহিষমাড়া ইউনিয়নের টেক্কা বাজার এলাকায় জনমনে এখন এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই ব্যক্তি আক্রান্ত অবস্থাতেই বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোয়, স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন যে, এই ভাইরাস ইতোমধ্যে আশেপাশে ছড়িয়ে যেতে পারে।
যদিও তিনি করোনা সংক্রমিত কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে সতর্কতামুলক পদক্ষেপ হিসেবে বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।
এদিকে এমন অবস্থায় ঘাটাইল-মধুপুর সীমান্তপথ গারোবাজার এলাকায় সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে পথ আটকে দেয় এলাকাবাসী। আজ বুধবার সকাল থেকে গারোবাজার-মধুপুরের রাস্তায় রাস্তায় একালার লোকজন বাশ, কাঠ দিয়ে ব্যারিকেড করে সকল প্রকার যানবাহন আটকে দেয়। তাছাড়া, জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানোসহ সচেতনতামূলক লিফলেট প্রদান করেন এলাকাবাসী।
বিকালে ঘাটাইলের গারোবাজার এবং মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। ঘাটাইলের গারোবাজার থেকে মধুপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে জীবাণু নাশক স্প্রে করছেন এলাকাবাসী।
কথা হচ্ছিল গারোবাজার এলাকার বুলবুল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের ভয়ে আমরা এমনিতেই কম বের হতাম কিন্তু এই মৃত্যুর কারণে পুরো এলাকাই মনে হচ্ছে যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে তেমন লোকজন নেই। সবাই এক ধরণের গৃহবন্দি। আমাদের ধারণা ওই ব্যক্তির মাধ্যমে এই ভাইরাস হয়তো অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছে।”
মহিষমারা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোতালেব হোসেন জানান, ”হাবিবুর রহমান হাবির মৃত্যুতে এলাকায় সবার মাঝে খুব ভীতি কাজ করছে। রাস্তা-ঘাট, দোকান-পাট সব বন্ধ রয়েছে। আল্লাহ যেনো আমাদের রক্ষা করেন।”
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াহীদুজ্জামান জানান, ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ গবেষণা ও রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রুবিনার নেতৃত্বে একটি দল মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।