
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৩৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৯৪ জন।
আক্রান্তের সংখ্যায় দেশটি ইতালি, চীন ও স্পেনকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ ভাইরাসে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৮৯ জন। এছাড়া দেশটিতে প্রতিদিন নতুন করে হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গত মাসেই দেশজুড়ে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, করোনা ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু এক লাখ বা তারও বেশি হতে পারে। এবং এ ধরনের কথা প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে করোনা ভাইরাস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প একথা বলেন। মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ বা এর নিচে থাকলে ‘সম্মিলিতভাবে করা খুব ভালো কাজ হবে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় যত মানুষ মারা গেছেন তার ৪০ শতাংশই হয়েছে দেশটির সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্কে। করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়েও নিউইয়র্কের অবস্থান সবার উপরে।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চারজন নিউইয়র্ক ও একজন নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যে মারা যান। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৫ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হলো।
নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া রোধ করার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। না হলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে পারত। যদিও এখনো নাজুক হতে পারে, এ নিয়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক।