
সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা- করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটর করছেন বলে জানিয়েন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, তার ওপর আস্থা রাখুন, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন। ইনশাল্লাহ করোনাযুদ্ধে বিজয় আমাদের হবেই।
শনিবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ ও জাতির এই সংকটকালে যারা নিবেদিত প্রাণ নিশ্চয়ই জাতি তাদের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করবে। এরইমধ্যে শেখ হাসিনার সরকার ব্যাংকিংসহ করোনা সংকটে যারা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা তাদের সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছেন।’
পোশাকশিল্প কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই, লে-অফ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, তৈরি কারখানাগুলো পোশাক শিল্প চালু করার আগে মালিকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন- এ সঙ্কটে কোনো প্রকার শ্রমিক ছাঁটাই, লে-অফ করা হবে না। ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিকদের দিয়েই ফ্যাক্টরি পরিচালনা করবে। বিভিন্ন জেলা বাগরামে অবস্থানরত শ্রমিকদের বেতনের একটি অংশ দেওয়া হবে। তাদের ঢাকায় আসতে নিরুৎসাহিত করা হবে।
প্রকৃতপক্ষে আমরা দেখছি, প্রতিদিন দলে দলে বিভিন্ন উপায়ে শ্রমিকরা ঢাকায় ঢাকায় ফিরছে। তারা বলছেন, তাদেরকে অফিস থেকে ডাকা হয়েছে। আবার গতকাল গাজীপুরে একটি কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাঁটাই করা হয়েছে শ্রমিকদের। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। সরকারি খাতের সুরক্ষায় ইতোমধ্যে নিম্ন সুদে প্রণোদনাসহ তাদের রপ্তানি আদেশ অব্যাহত রাখতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের টেলিফোনে অনুরোধ জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পোশাক শিল্পের মালিকরা উদার মানসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলে আমার বিশ্বাস। শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। আপনারা শ্রমিককর্মী ভাই-বোনদের পাশে থাকুন। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন। শ্রমিক ছাঁটাই ও ফ্যাক্টরি লে-অফ যারা ঘোষণা করছেন, তাদের বিরত রাখুন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলার মাধ্যমে যে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে, তাতে পরিবহনসহ অন্যান্য শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। আশা করি জেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।
করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসা সেবায় সরকারি টেস্টিং ক্যাপাসিটি এখন অনেক বেড়েছে। অনেকে লক্ষণ দেখা দিলে ও টেস্ট না করিয়ে গোপন রাখছেন। এতে বিপদ ডেকে আনছেন। লক্ষণ দেখা দিলে হেলপ্লাইন বা হটলাইনে যোগাযোগ করতে যেন ভুল না হয়। সবাইকে লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করছি।