
অসীম কুমার সরকার, তানোর (রাজশাহী) সংবাদদাতা: আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে রাজশাহীর তানোরে স্মরণসভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার শেষ বিকেলে উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুশান্ত কুমার মাহাতোর ব্যক্তিগত উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বল্প পরিসরে এই স্মরণসভা ও ইফতার মাহফিল আয়োজিত হয়।
আয়োজিত স্মরণসভায় ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হক, উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলাম, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. বেলাল হোসেন, উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর ফেরদৌস জামান, তানোর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিমসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
স্মরণসভায় ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন উত্তরবঙ্গের কৃতিসন্তান। শৈশব থেকে তিনি ছিলেন অসাধারণ মেধার অধিকারী। তিনি নিজে যেমন আলোকিত মানুষ ছিলেন তেমনি দেশকে আলোকিত করেছেন। তিনি সকল প্রকার লোভ লালসার উর্ধ্বে থেকে অত্যন্ত সুনাম এবং দক্ষতার সঙ্গে তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতার লোভ তাঁকে কখনও স্পর্শ করেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মৃত ব্যক্তির জীবনী থেকে যাতে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। ড. এম ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন তেমনি একজন লোক যার জীবনী থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’
শেষে তানোর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা ও মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এই বিজ্ঞানী ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে এক সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম।