
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩০৭ জন মানুষকে ১৪ হাজার ৬৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
বুধবার (২০ মে) মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন।
এনামুর রহমান বলেন, লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৮টি থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার ৩৩৬টি করা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩০৭ জনকে নেয়া হয়েছে, এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক। ১৪ হাজার ৩৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৭ লাখ ১৩ হাজার ৬০৭ জন মানুষকে রাখা সম্ভব। সামাজিক দূরত্ব মানার কারণে এতে কম মানুষকে নেয়া হয়েছে বলে জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফণির সময় ১৮ লাখ এবং বুলবুলের সময় ২২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের পাশাপাশি ৫ লাখ ১৭ হাজার ৪৩২টি গবাদিপশুকেও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা হয়েছে। নিরাপদ আলো বা বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ- বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এর আগে বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভা হয়। সেখানে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সম্পর্কে সরকারপ্রধানকে অবহিত করা হয় বলে জানান এনামুর।