
কৃষ্ণ কর্মকার, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি- করোনার প্রর্দুভাব ঠেকাতে সরকারের ঘোষিত লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার স্বর্ণ শিল্পীরা।
টানা প্রায় দুই মাস জুয়েলারী দোকান ও কারখানা বন্ধের কারণে ভালো নেই এ সকল শিল্পী পরিবার। সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে তেমন কোন উল্লেখ যোগ্য সাহায্য না পাওয়ায় শিল্পীদের দিন চলছে অর্ধাহারে অনাহারে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ জুয়ের্লাস সমিতির বাউফল শাখার কমিটিতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় এক’শ দশটা জুয়েলারী দোকান রয়েছে। এদের কারখানায় শতাধিক কারিগর বা শিল্পী রয়েছে। এ সকল র্স্বণ শিল্পীরা অধিকাংশই কাজের মুজুরীর উপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি লকডাউনে কিছু শিথিলতা আসলেও স্বর্ণের জুয়েলার্স দোকানগুলো পুরোপুরি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। দীর্ঘ দুই মাস বন্ধের কারনে জুয়েলার্সের স্বর্ণ শিল্পীরা কর্মহীন হয়ে পড়ে।
উপজেলার কালাইয়া বন্দরের স্বর্ণ শিল্পী আনন্দ কর্মকার বলেন, টানা দুই মাস লকডাউনের কারনে স্বর্ণের দোকান বন্ধ থাকার কারনে আমাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। ধার-কর্য করে কিছু দিন চললেও এখন আর পারছি না।
বাউফল পৌর শহরের সুধা মালাকার নামের এক স্বর্ণ শিল্পী বলেন, লকডাউনের কারনে কোন কাজ না থাকায় ঘরে বসে থাকতে হচ্ছে। সঞ্চয় যা ছিল সবই শেষ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এক মাস আগে ৫ কেজি চাল সহ কিছু খাদ্য উপকরন দিয়েছিল তা দিয়ে অর্ধাহারে চললেও এখন আর পারছি না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির বাউফল শাখার সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে উপজেলার প্রায় ৫০জন অসহায় স্বর্ণশিল্পীর তালিকা করে সহায়তা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও মাত্র কয়েকজন শিল্পী জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে খাদ্য সমাগ্রী সহায়তা পেয়েছেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী করে বলেন, যতদিন না পর্যন্ত অবস্থা স্বাভাবিক না হবে তত দিন পর্যন্ত যেন অসহায় এই শিল্পীদের জন্য সহায়তা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির বাউফল শাখার সভাপতি সুশান্ত সাহা বলেন, দেশ জুরে করোনার কারনে দেশের মানুষের আয় বানিজ্যে অনেক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে উপজেলার মতন এই মফস্বল এলাকায় স্বর্ণের ব্যবসা কতটা টিকে থাকবে এ প্রশ্ন এখন সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ্যদের জন্য সরকার যে প্রনোদনার ঘোষণা করেছেন তা যেন শহড়েরর মধ্যেই সিমাবন্ধ না থাকে। দেশের উপজেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দিকে যেন সদয় দৃষ্টি থাকে সংশ্লিষ্টদের।