

সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্কঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে জেকেজির চিকিৎসক ও রিজেন্টের সাহেদরা দেশকে লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলে ও মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেললেও এখনো তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতি, অনিময় নিয়ে সমালোচনা করলেই, কথা বললেই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখলেই মুহূর্তের মধ্যেই তাকে খুঁজে বের করা হয়, মামলা, গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু জেকেজি ও রিজেন্ট ভয়াবহ ঘটনা ঘটালেও এখনো তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তাদের খুঁজে পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসার অনিয়মের সাথে জড়িত জেকেজির চিকিৎসক ও রিজেন্টের সাহেদরা?
রবিবার (১২ জুলাই) দুপুরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কোভিড-১৯ রোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় হটলাইন কল সেন্টার উদ্বোধন উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান হয়। পরে কল সেন্টার ০৯৬৭৮১০২১০২ নাম্বারে ফোন করে এই কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের দমন নীতির কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আজকে যারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে চান তারা শিকার হচ্ছেন গুমের, তারা শিকার হচ্ছেন মিথ্যা মামলার, তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। পলি নামে একজন কিশোরী মেয়ে তার ফেসবুকে স্বাধীন মত প্রকাশ করার কারণে রাতের বেলা তাকে গ্রেফতার করে এখনো আটক রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের সাবেক নেতা টিটো হায়দার ৪/৫দিন হলো গায়েব। নোয়াখালীর নেতৃবৃন্দ বারবার বলছেন, সেখানে র্যাব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কখনো তারা আকার ইঙ্গিতে বলে আছে, আবার কখনো বলে আমরা কিছুই জানি না।’
রিজভী বলেন, ‘কিন্তু সুস্পষ্টভাবে সবাই দেখছে যে, টিটো বেগমগঞ্জ থানায় আছেন। অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু পুলিশ বলছে যে, সে তাদের কাছে নেই। আমরা সকলেই জানি টিটো পুলিশের কাস্টডিতে আছে এখন। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সবাইকে ভয় পাইয়ে দেয়া যে, আর কেউ তোমরা করোনা নিয়ে কথা বলো না। কী হচ্ছে না হচ্ছে, কত জিকেজি, রিজেন্টের ঘটনা হবে- খবরদার এসব নিয়ে কথা বলতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কোনো অনাচার নিয়ে কথা বলতে পারবে না। মানুষকে ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্য এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।’
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ। অংশ নেন চিকিৎসক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলীরা।