

সিরাজুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি- সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে জেলার পাঁচটি উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ।
এখনো যমুনা নদীর পানি কাজীপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে সিরাজগঞ্জের সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, শাহাজাদপুর, চৌহালী উপজেলার ৩৫ হাজার পরিবারের প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে। বেশিরভাগ মানুষ নিজে উদ্যোগী হয়ে পাশের উঁচু স্থান, রাস্তার বাঁধে ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যর সংকট ।
তাছাড়াও তারা বিভিন্ন প্রকার পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তারা সাহায্য ও সহযোগিতার না পাওয়ার অভিযোগ করছেন।
এদিকে, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, উল্লাপাড়া, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ২২৪টি গ্রামের এ পর্যন্ত ৪৭ হাজার ২১৭টি পরিবারের প্রায় দুই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ওইসব এলাকায় ১৪ হাজার ১৩ হেক্টর আবাদি কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে।
চলমান বন্যায় ১৮৭টি ঘরবাড়ি এবং ৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় প্রায় দুই লাখ ৫৫ হাজার পরিবারের মধ্যে ভিজিএফ কার্যক্রম চলতে থাকায় আপাতত আলাদা করে বন্যায় সাহায্য দেওয়া হচ্ছে না।