
সময়ের কন্ঠস্বর ডেস্ক- সাভারের আশুলিয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে এক পুলিশ কনেস্টবলসহ চারজনকে হাতেনাতে আটক করেছে র্যাব-৪ এর একটি দল। আজ সোমবার ভোরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়।
আটকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার শ্যামপুর গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে মো. মমিনুর রহমান। তিনি বর্তমানে আশুলিয়া থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
অন্যরা হলেন- টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ছোনকা গ্রামের মো. আবদুল লতিফের ছেলে আবদুল হামিদ (মাইক্রোবাস চালক), গাইবান্ধা জেলার সদর থানার চৌদ্দগাছা গ্রামের মৃত তফেজল মিয়ার ছেলে ওয়াহেদ ও অপরজন জামালপুর জেলার মালন্দ থানার চরগুহিন্দি গ্রামের মো. সরুজ শেখের ছেলে ওয়াজেদ শেখ।
ভুক্তভোগী নুর উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘গত বুধবার (২২ জুলাই) রাতে আমার জামগড়ায় নুর মেডিকেল হল নামে ওষুধের দোকানে বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ রয়েছে দাবি করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে। পরে গভীর রাতে দাবি করা বাকি টাকা নিতে আসার কথা জানায় তারা। ফলে বিষয়টি আশুলিয়ার নবীনগর র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ এ বিষয়টি অবহিত করি। পরে র্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের অপেক্ষা করতে থাকে। চাঁদা নিতে এলে র্যাব তাদের হাতেনাতে আটক করে।’
এ বিষয়ে র্যাব ৪ (সিপিসি-২) এর কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দিন বলেন, ‘আগে থেকেই অবস্থান নিয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করি। এরমধ্যে আশুলিয়ার থানার একজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। তল্লাশি করে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র , জাল টাকা, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ব্যাংকের ১৬ এটিএম কার্ড পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় চাঁদাবাজি, অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতির প্রস্তুতি বিষয়ে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হবে। দুটি মামলা ভুক্তভোগী নুর উদ্দিন বাদী হবেন, বাকি দুটি মামলায় র্যাব-৪ বাদী হবে।’