
সময়ের কণ্ঠস্বর, লালমনিরহাট- লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলমের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি মারামারির ঘটনায় বাদীপক্ষকে ফাঁসাতে তিনি আসামিপক্ষকে পরামর্শ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, লালমনিরহাট সদর থানার একটি পরিবারিক মামলার আসামি পক্ষের কয়েকজন মামলাটির বাদীকে হেনস্থা করার কৌশল জানতে ওসি মাহফুজ আলমের কাছে এসেছেন। কৌশল হিসেবে ওসির পরামর্শ মোতাবেক তারা মামলাটির বাদীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও ১০ হাজার টাকা নিয়ে এসেছেন। অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে ওসিকে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তাকে আরো তিন হাজার টাকা দিতে বলেন ওসি।
ওই ভিডিও আলাপনে শোনা ও দেখা যায়, ওসি মাহফুজ আলম তাঁর অফিসকক্ষে মারামারির মামলায় প্রধান অভিযুক্তকে বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে কখন কী মামলা করতে হবে, কীভাবে শায়েস্তা করতে হবে; সে বিষয় পরামর্শ দিচ্ছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে টাকা দিতে বলছেন। টাকাপয়সা লেনদেন–সংক্রান্ত প্রেক্ষাপটে ওসি হ্যান্ড সানিটাইজার দিয়ে নিজের এবং ঘুষদাতার হাত সানিটাইজ করে নেন।
এ ব্যাপারে ওসি বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার বিষয় নিয়ে অনেকে পরামর্শ করতে আসেন। ঈদের আগেও এসেছেন। ভিডিওতে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার বিষয় আছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ওই ভিডিও গোপনে ধারণ করা হয়েছে।’
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ওসির ভুলের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’