
সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের। তা কখনো দুর্বল হওয়ার নয়। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত সুস্থ ও সবল আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটি রক্তের সম্পর্ক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতীয়রা রক্ত ও আশ্রয় দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে তা পৃথিবীর আর কোনও দেশের সঙ্গে নেই। তাই এ সম্পর্কটি কখনও দুর্বল হওয়ার নয়।’
তিনি জানান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের কিছু চুক্তি, প্রকল্প ও কার্যক্রম রয়েছে। দু’দেশের কানেক্টিভিটি বাড়াতে নৌপথ অন্যতম একটা মাধ্যম হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে এগুলো এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সাংবাদিকদের কথা বলেন রীভা গাঙ্গুলি দাসও। ভারতে বাংলাদেশিদের জন্য কবে নাগাদ ভিসা চালু হচ্ছে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, ‘খুব ইর্মাজেন্সি মেডিকেল ভিসা, বিজনেস ভিসা আমরা দিচ্ছি বাই এয়ার। চেষ্টা করছি এটা যত তাড়াতাড়ি নরমাল হয়। এখনো যারা খুব ইর্মাজেন্সি রোগী তাদের ভিসা দেওয়া হয়।’
সাধারণ ভিসা কবে নাগাদ চালু হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে রীভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, ‘সেটা চেষ্টা করছি আমরা। কারণ ফ্লাইটটা ঠিক নরমালি না চললে….আর এখনো তো কোভিড উঁচু-নিচু হতে থাকে। বাট উই আর ওয়ার্কিং অন ইট (কিন্তু আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি)।’
তাহলে কী সহসাই খুলছে এ রকম বলা যায়-জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, ‘হোপফুলি, হোপফুলি (আশা করা যায়)।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে রীভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, ‘শিপিং মিনিস্ট্রির সঙ্গে আমরা খুব ক্লোজলি কাজ করি। কোভিডের সময় আমরা শিপিং মিনিস্ট্রির সঙ্গে একটা সেকেন্ড অ্যাডেনডাম পিআইডব্লিউটিটি (প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড) সাইন করেছি। ওটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা এগ্রিমেন্ট। বুঝতেই পারছেন অনেক পুরোনো, সত্তরের দশকের একটা এগ্রিমেন্টের সেকেন্ড অ্যাডেনডাম। এটা অনেকগুলো পোর্ট অব কল অ্যাড হয়েছে। দুটো নতুন রুট অ্যাড হয়েছে। এজন্য ওনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছিলাম।’