
কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে ধানের পাশাপাশি চাষ হয়ে থাকে পাটেরও। এ বছর সোনালি আঁশ পাটের চাষ হয়েছে ৬ হাজার ১শ ৪০ হেক্টর জমিতে, আর দাম বেশি পেয়ে খুশি চাষিরা। ফলে ঠাকুরগাঁও কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালি হাসির ঝিলিক। ভালো দাম এবং কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে পাটের চাষ আরও বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
ঠাকুরগাঁও কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানান, এ বছর ৬ হাজার ১শ ৪০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ৫ হাহার ৮শ ১২ হেক্টার জমিতে পাট চাষ হয়। দেশি ও তোষা জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। তবে উচ্চ ফলনশীল তোষা জাতের পাট চাষ হয়েছে বেশি।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পাট কাটা, জাগ দেওয়া, পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানো ও শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
বর্ষার নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবাতে পানি থাকায় পাট জাগ দেওয়ার কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি কৃষকদের। কৃষকরা জানায়, পাটের ফলন ভাল হলে প্রতিবিঘায় ১০-১২ মণ হয়ে থাকে এবং খারাপ হলে ৭-৮ মণের মতো হয়। গত কয়েক বছর আগে প্রতিমণ পাটের দাম ছিল ১৮৫০ থেকে ১৯০০ টাকা। এবছর প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে ১৮৫০ টাকা এবং ১৯৫০ টাকা মন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শিবগঞ্জ হাটের পাট ব্যবসায়ী আব্দুর জব্বার ও শামিম হোসেন বলেন, এ বছর পাটের ফলন ভাল। বাজারে দামও বেশি। প্রতিম মন পাট ২১০০ থেকে ২২০০টাকা করে ক্রয় করছি। আর পাটের দাম বেশি পেয়ে কৃষকের মহাখুশি।
ঠাকুরগাঁও বড় খোচাবাড়ি গ্রামের কৃষক ইকবাল ও সুভাস চন্দ্র বলেন, ‘বিগত বছরের তুলনায় দাম ভালো পেয়েছি। দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ভালো দাম পেলে আগামীতেও পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে।’
ঠাকুরগাঁও উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আফতাব হোসেন বলেন, ‘এবছর কৃষকেরা পাট চাষ করে ফলন ভাল পেয়েছেন। বাজারে পাটের দাম ভালো। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’