
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্কঃ মিয়ানমার জাতিগত নিধন আর নৃশংস মানবতাবিরোধী অপরাধের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করেছিল ৩ বছর আগে। এরমধ্যে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও নিরাপদে দেশে ফিরতে পারেনি।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান করার বিষয়টিকে বাংলাদেশের ‘অসাধারণ’ উদারতা হিসবে আখ্যা দিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশন আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়দান করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের অসাধারণ উদারতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যুক্তরাজ্য প্রতিকূলতার মুখে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবিশ্বাস্য সহিষ্ণুতা, সাহস এবং দৃঢ়তার স্বীকৃতি প্রদান করে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার জন্য আহ্বান জানিয়ে যাব এবং রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য চাপ দেব।
২০১৭ সালে সংকটের শুরু থেকে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরি জীবন বাঁচানো এবং জীবনযাত্রা চালিয়ে যাওয়ার এবং আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়ের উপর চাপ কমাতে তাদের সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
যুক্তরাজ্য গত তিন বছরে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে সহায়তা প্রদানে সাড়া দিয়ে ২৫৬ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশী প্রদান করেছে এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটে সাড়া দিতে অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা উদ্ভুত চাহিদা মূল্যায়ন করতে এবং তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং আশ্রদানকারী সম্প্রদায়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করে যাব।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ১১ লাখের বেশী রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। এদের অধিকাংশই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের পর এদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।