
সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই। তাকে বিএনপি লড়াই করে মুক্ত করেছে এমন দাবি মির্জা ফখরুল করতে পারবেন না।”
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথসভায় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শুভবোধ আছে। অন্যায়কারী যেই হোক না কেন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। শেখ হাসিনা প্রতিশোধপরায়ণ নয়, প্রতিহিংসাপরায়ণ নয় বলেই উদার চিত্তে মানবিক হয়ে খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করেন। বিএনপি খালেদা জিয়ার জন্য ৫শ’ লোক নিয়ে একটা মিছিল করতে পারেনি।’
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণেই জিয়াউর রহমান খুনিদের দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুক, রশিদ, মাজেদরা মিডিয়ায় নিজেদের সাক্ষাৎকারে বলেছে। জড়িত ছিলেন বলেই খুনিদের পুনর্বাসনের জন্য ও বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত করতে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংবিধানে পাশ করে দায়মুক্তির বিধান করে। আমরা বুঝতে পারি না, ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরীক্ষিত এই সত্যকে বিএনপি অস্বীকার করে কীভাবে?’
আওয়ামী লীগের যেসব জেলা, মহানগর এবং সহযোগী সংগঠগুলোর সম্মেলন হয়েছে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি, তাদের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, এরপর যে সম্মেলনগুলো হবে সেগুলো সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই করব। উপজেলা সম্মেলন, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বাদ দিয়ে জেলা সম্মেলন করার কোনো মানে হয় না। কাজেই আমাদের একেবারেই তৃণমূল থেকে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। খুব শিগগিরই দলের সভাপতিমণ্ডলীর সভা হবে। এরপর কার্যনির্বাহী কমিটির সভা করার চিন্তা-ভাবনা আছে।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।