
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্কঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে হত্যা চেষ্টা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউএনও’র গাড়ি চালক হাফিজ ও ইয়াসিন নামের দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার পর তাদেরকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে থানা হেফাজতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা।
ভেতরে ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হয়। বর্তমান তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ইউএনও ওয়াহিদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ইমাম জাফর এর নেতৃত্বে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম, সহযোগী নবিরুল এবং সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনজনের কাছে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে ঘটনার নেপথ্যসহ সব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র বের করার চেষ্টা করছেন তিনি।
ঘটনাটি চুরির বলে দাবি করা হলেও তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ইমাম জাফর রোববার বলেছেন, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ৭ দিনের সময় পাওয়ায় ধীরস্থিরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন ওই তদন্ত কর্মকর্তা।
এছাড়া প্রধান আসামি আসাদুলের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন, বাগানের মালি সুলতান কবির এবং (গ্রেফতার সেন্টুর নিকট আত্মীয়) আদ্দাল্লি (পিওন) শ্যামল কুমারকে শনিবার থেকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
তবে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই পাঁচজনকে গ্রেফতার অথবা আটক দেখাননি তারা। তথ্য জানতে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।