
শাহ আলম শাহী, স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকেঃ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারো পেঁয়াজ আসবে আগামীকাল শনিবার। আভাস দিয়েছে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা। এমনই সুসংবাদ জানালেন, দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।
তিনি জানান, ভারতীয় রপ্তানিকারকা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, এলসি করা যে সমস্ত পেঁয়াজ ওপারে ট্রাকে আটকা পড়েছে,তা বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা চলছে। তা না হলে ওইসব পেঁয়াজ পঁচে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আগামীকাল শনিবার থেকে পাঠাবে কি না তা রাতের মধ্যেই জানা যাবে।
হারুন অর রশিদ এর সত্যতা স্বীকার করেছেন, দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দরের ওপাড়ে ভারতে আটকা পড়েছে প্রায় ৩ শতাধিক পেঁয়াজের ট্রাক। পচন ধরার আশংকায় বাংলাদেশি আমদানিকারকরা উদ্বিগ হয়ে পড়েছে। আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আটকা পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা ১০ হাজার টনের মতো পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি করেছেন। ভারতীয় তিন শতাধিক ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে রাস্তায় আটকে পড়েছে। এসব পেঁয়াজ প্রবেশ করতে না পারলে সেগুলোতে পচন ধরবে। ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে। অন্তত এলসি করা পেঁয়াজগুলো আনার জন্য ব্যবস্থা চলছে। পরে পেঁয়াজ আমদানি নিয়মিত হবে কি না তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ।
তিনি আরও জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ২৫০ থেকে ৩০০ ডলারে রপ্তানি করছিলেন। কিন্তু, ভারতে পেঁয়াজের মূল্য দ্বিগুণের বেশি হয়ে যাওয়ায় ওই মূল্যে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছেন তাঁরা।
‘ভারতের বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন এলসি মূল্য নির্ধারণ করার জন্যই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারতের ব্যবসায়ীরা ওই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৭৫০ ডলার নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব করেছেন।’
এদিকে এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম জানান, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় পর স্থলবন্দরগুলোর ওপারে পেঁয়াজ ভারত দেয়ার সম্মত হয়েছে। তবে, কবে থেকে দিবে তা এখনো বলা সম্ভব নয়।