
ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি: হঠাৎ বৃষ্টি আর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় রোপা আমনের প্রত্যাশীত ফলনের সম্ভবনা। রাজশাহীতে আউশের ক্ষতি পূরনের লক্ষে নতুন করে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা। ফসলি জমিতে বিভিন্ন পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার ৯ উপজেলার চাষিরা।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, গত বছর রাজশাহীতে ৭৪ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়। এবারের মৌসুমে রাজশাহীতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৭৬ হাজার ৫০০ হেক্টর। তবে চাষাবাদ করা হয়েছে ৭৭ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে। যার লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১ হাজার ৭০ হেক্টর বেশি জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে।
জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বরেন্দ্র অঞ্চলে রোপা আমন ধানের চাষ হচ্ছে ২৪,৬২৫ হক্টের জমিতে। তানোরে ২২,৪৩৫ হেক্টর, পুঠিয়ায় ৫৮৭০ হেক্টর, পবায় ৯,১৩৫ হেক্টর, মতিহারে ২০ হেক্টর, দুর্গাপুরে ৫,৩৫০ হেক্টর, বাঘায় ১,৩৫০ হেক্টর, চারঘাটে ৪ হাজার ২৩৫ হেক্টর ও বাগমারায় ৭৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলার ধান চাষিরা এই পত্রিকাকে বলেন, বোরো মৌসুমে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় গত বছরের চাইতে এবার বেশি রোপা আমন আবাদ করা হয়েছে। বন্যা ও উজান থেকে আশা পানিতে জমির আউশ ধানের ক্ষতি পোষাতে রোপা আমন আবাদ করা হয়। তবে গত বছর কারেন্ট পোকার সংক্রমণে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিলো। এই পোকার সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে অগ্রিম কোন ব্যবস্থা নিলে আমরা ধানের বাম্পার ফলন পাবে। উভয় সংকট পেরিয়ে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে নতুন করে রোপা আমনের চাষ করেছে অনেক কৃষক। ধান গাছের পুষ্টতা ও পাতা দেখে ভালো ফলন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
জীব বৈচিত্র নিয়ে পৃথিবীর সৃষ্টি। চক্রাকারে খাদ্য সংগ্রহে একে অপরের নির্ভরশীল জীব সমাজ। প্রাকৃতিক নিয়েমে বিভিন্ন ফসলি মৌসুমে বিভিন্ন পোকা মাকঁড়ের সৃষ্টি হয়। সেই সূত্রে ধান গাছে পোকা হয়। কৃষি দপ্তর থেকে কৃষকদের চাষাবাদে সচেতনতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে উঠান বৈঠক, পরামর্শ এবং উন্নত প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে। কারেন্ট পোকা দমনের কৌশলগুলো সম্পর্কে কৃষকরা প্রশিক্ষন প্রাপ্ত। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা মঞ্জরল হক।
বৃষ্টি ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নানা মুখি কর্মসূচীর কারণে এবারের মৌসুমে ধানের ভালো ফলন হবে বলে আশা ব্যাক্ত করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল হক।