
স্পোর্টস আপডেট ডেস্ক- শৈশবে দারিদ্র্য, ফুটবল প্রেম। কৈশোরে নাম কুড়ানো, তারুণ্যে দুনিয়া মাত। বাকি জীবনটাও তার তারুণ্যই। ম্যারাডোনা চেনা পথে হেঁটে একটাই জীবন পার করেননি। জীবনকে নিয়ে খেলেছেন বিস্তর। এক জীবনে পেয়েছেন বহু জীবনের স্বাদ।
সেই ডিয়েগো ম্যারাডোনা আর নেই। প্রায় এক দিন কেটে যাওয়ার পরও এ বাক্যটা বিশ্বাস হতে চায় না। কিন্তু অমোঘ সত্য মেনে নিতে হচ্ছে সবাইকে। এরই মধ্যে ম্যারাডোনাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হাজির হয়েছেন হাজারো মানুষ।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের আবাসস্থল কাসা রোসাদায় আপাতত রাখা হয়েছে কিংবদন্তির মৃতদেহ। আর্জেন্টিনার সাধারণ মানুষ সবাই শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে দলে দলে হাজির হয়েছেন কাসা রোসাদায়। যে মানুষটি জীবনভর তাঁদের হাসিয়েছেন, কাঁদিয়েছেন, আবেগে ভাসিয়েছেন, তাঁকে শেষবারের মতো দেখার জন্য ছুটছেন সবাই।
এরই মাঝে ম্যারাডোনার মৃত্যুর নানা আনুষ্ঠানিকতা সেরে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে ময়নাতদন্ত হয়ে গেছে তাঁর। স্থানীয় সময় ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ১১টায় ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর শরীর নিয়ে যাওয়া হয়েছে শেষকৃত্যের জন্য প্রস্তুত করতে। কাল প্রাথমিকভাবে যেটা জানানো হয়েছিল, সেটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। হৃদ্রোগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এটাও জানা গেছে, ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন জাদুকর।
সান ইসিদ্রো অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে জানানো হয়েছে গতকাল স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টায় ম্যারাডোনাকে তাঁর বিছানায় পাওয়া যায়। চিকিৎসক বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও যখন ব্যর্থ হলেন জাগাতে, তখনই মেনে নিতে হয়েছে সত্যটা।
এদিকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পৌঁছেছে ম্যারাডোনার মরদেহ। আগামী তিনদিন কিংবদন্তি এই ফুটবলারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে উপস্থিত হতে পারবেন ফুটবলপ্রেমীরা।
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম বুয়েনস আইরেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাসা রোসাদায় ম্যারাডোনার মরদেহ রাখার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে ব্যবহার না করা ভবনের বিভিন্ন জিনিসপত্র বের করে নিয়ে আসা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ম্যারাডোনার মরদেহ বুয়েনস আইরেসের তিগ্রেতে তার বাসভবন থেকে ময়নাতদন্তের জন্য সান ফার্নান্দোর একটি মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।