আবদুল্লাহ রিয়েল,ফেনী প্রতিনিধি : বাংলাদেশের বৈচিত্রময় ঋতুর মধ্যে শীতকাল অন্যতম, আর এই শীতকালের ঐতিয্যবাহী গ্রামীন খাবার খেজুর রসের পিঠাপুলি, শিরনী মিঠাই ইত্যাদি। শীতের শুরুতেই গাছিরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করে রস আহরণের জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় ফেনীর চরাঞ্চলের গাছিরাও প্রস্তুত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খেজুর গাছ থেকে রস আহরণের জন্যে যেসকল উপকরণ প্রয়োজন হয় তা গোছাতে ব্যস্ত গাছিরা। তাদের অনেকেই রস আহরণ করে লাভের মুখ দেখেছে বিগতদিনে এমনটাই জানিয়েছেন। যার ফলে এ বছরও লাভের আশায় কাজ শুরু করেছেন। সোনাগাজী উপজেলার আদর্শগ্রামের বৃদ্ধ গাছি শফিউল্লাহ (৬২) বলেন, এবার শীতের আগমনি দেখে বুজা যাচ্ছে রস উৎপাদন বাড়বে। তার ভাষ্যমতে, চরাঞ্চলের নোনা মাটিতে খেজুর গাছ বেশি বাড়ে এবং রস ভালো হয়। আর তাই রস আহরনে এখনো চিরচায়িত গ্রাম্যরীতিতে ঝুঁকি নিয়েই কোমরে রশি (দড়ি) বেঁধে গাছে ঝুলে রস সংগ্রহে করে গাছিরা।
ছাগলনাইয়া উপজেলার গাছি আবদুল হাকিম বলেন, ‘বর্তমানে যে হারে খেজুর গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে, তাতে এক সময় হয়তো আমাদের এলাকায় খেজুর গাছ থাকবে না। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাইলে আমাদের সবার উচিত তালগাছের মতো বেশি বেশি খেজুর গাছ লাগানো এবং তা যত্ন সহকারে বড় করা।’
অনুসন্ধানে দেখা গেছে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বাংলার ঐতিয্যবাহী খেজুর রস ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, কারণ খেজুর গাছ রোপনে মানুষ আগ্রহী হচ্চেনা, তালগাছ রোপনের মত খেজুর গাছ রোপনে প্রচারনা চালালে খেজুর গাছ বৃদ্ধি পেতে পারে, না হয় ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে খেজুর রসের ঐতিয্য।
উল্লেখ্য, শীতের বিকালে ছোট বড় মাটির হাঁড়ি গাছে বেঁধে তা থেকে সকালে রস সংগ্রহ করতে হয়। গাছিরা কাঁচা রস এলাকার বিভিন্ন স্থানে ও হাটে-বাজারে খাওয়ার জন্য বিক্রি করেন। আবার কেউ কেউ সকালেই এই রস জ্বালিয়ে গুড় মিঠাই তৈরি করেন।’