
মো. সানোয়ার হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নানা আয়োজনে হানাদারমুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে। পুস্প নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসটির সূচনা।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে একটি বর্নাঢ্য র্যালি হয়। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, স্থানীয় এমপিসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও উপজেলা প্রশাসন-পরিষদের কর্মকর্তা-জনপ্রতিনিধিগণ।
পরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একাব্বর হোসেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বাস দুর্লভ চন্দ্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুর রহমান শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য সাইদুর রহমান খান বাবুল, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শামীম আল মামুনসহ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ৭১ এর এই দিনে বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা মির্জাপুরকে পাকহানাদার মুক্ত করেন। ৭১ এর ৩ এপ্রিল মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের গোড়ান- সাটিয়াচূড়ায় বাংলাদশের রাজধানী ঢাকার বাইরে সর্বপ্রথম পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সম্মুখ যুদ্ধ হয়। পর্যায়ক্রমে নয়াপাড়া, হিলড়া, পাথরঘাটা এবং ভড়রাসহ বিভিন্ন স্থানে পাকবাহনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধ হয়।
এরপর ৭ই মে মির্জাপুর সদর ও আন্ধরা গ্রামে পাকবাহিনী প্রথম গণহত্যা চালায়। তাছাড়া মির্জাপুরের রাজাকার মওদুদ মাওলানা ও মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা, তাঁরই ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিসহ শতাধিক নিরীহ বাঙালীকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকবাহিনী। অতপর তুমুল যুদ্ধের পর ১৩ই ডিসেম্বর এই দিনে পাকবাহিনীরা মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। আর এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে হানাদার মুক্ত হয়।