
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, উন্নয়নের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন। তাহলেই দেশ পরিণত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায়।
মঙ্গলবার বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি দেশে-বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে বিজয়ের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, করোনা মহামারী মানবসভ্যতাকে ইতিহাসের এক চরম বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করে যাচ্ছে। করোনাযুদ্ধে জয়ী হতে আমি দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে, গড়ে তুলতে হবে পরমত সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি।
উল্লেখ্য বুধবার বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ। এ দিনটি বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।
এ বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান বিজয় দিবস-২০২০’ উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না।