
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ বৃহস্পতিবার। বৈঠকটি বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে বলে জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈঠকের আগেই দু’দেশের মধ্যে চারটি সমঝোতা চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব চুক্তি ঘোষণা করা হবে। যে চারটি চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো- দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা, দুই দেশে মধ্যে হাতি সংরক্ষণ সহযোগিতা, বরিশালে একটি পয়ঃনিষ্কাশণ প্ল্যান্ট তৈরি ও কমিউনিটি উন্নয়ন প্রকল্প। এছাড়া, তিস্তা ও অভিন্ন নদীর পানি সমস্যা এবং সীমান্ত সংঘাত নিয়েও আলোচনা হবে।
জানা যায়, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে সীমান্ত যেন শান্তিপূর্ণ থাকে, একইসঙ্গে ভারতের ক্রেডিট লাইনের আওতায় দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনা প্রাধান্য পাবে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।
বৈঠক সামনে রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, ‘বৈঠকে স্থল সীমান্ত ও সীমান্তে অনিশ্চয়তা, সমুদ্রসীমা, পানি সমস্যাসহ অমিমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে দুই সরকার প্রধানের। চারটি সমঝোতা স্বারক এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় এমন প্রকল্পের উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিককালেও ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক সোনালী অধ্যায়। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট উদ্বোধন হবে। আমাদের বড় বড় ইস্যু, যেগুলো সব সময় আমরা তুলে থাকি সেই ইস্যুগুলো উত্থাপন হবে।’
ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একটি রক্তের সম্পর্ক, ঐতিহাসিক সম্পর্ক। ভারত আমাদের সব সময় বন্ধু এবং আমাদের বিজয়ে তাদেরও যথেষ্ট অহংকারের কারণ আছে।’
জানা গেছে, নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের কুচবিহারের হলদিবাড়ি রেলপথও উদ্বোধন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। ৫৫ বছর পর চালু হওয়ার পর প্রথম দফায় চলবে মালবাহী ট্রেন।