
সময়ের কণ্ঠস্বর, জয়পুরহাট- কোনো ট্রেন আসার আগেই রেলক্রসিংয়ের গেট লাগিয়ে দেয়া ছিল তার দায়িত্ব। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব পালন না করে ঘুমিয়ে পড়েন। আর এতেই জয়পুরহাট সদরের পুরানপৈল রেলগেটে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন বাসের ১২ যাত্রী। গুরুতর আহত আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সালাম কবির ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনার সময় রেলক্রসিংয়ের গেট খোলা ছিল। এ সময় ঘুমিয়ে ছিলেন গেটম্যান। তবে গেটম্যানের দায়িত্বে কে ছিলেন সেটা তিনি জানাতে পারেননি।
আজ শনিবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল রেলক্রসিংয়ে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, এ দুর্ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বগুড়ায় আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নিহত মানুষের সংখ্যা হলো ১২ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, পার্বতীপুর থেকে রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে বাঁধন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের ওই সংঘর্ষ হয়। জয়পুরহাট থেকে পাঁচবিবি যাচ্ছিল বাসটি। পথে বাসটি পুরানাপৈল রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনটিও সেখানে চলে আসে। এতে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিরা সবাই বাসের যাত্রী।
দুর্ঘটনার পর পাঁচজনকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে একজন বগুড়ায় নেওয়ার সময় মারা যান। হতাহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।