
মাহফুজুর রহমান, চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরে দিনে-দুপুরে লঞ্চ ডাকাতির ঘটনা শেষে পালাতে ব্যর্থ ১৮ সদস্যের ডাকাতদলের একজনকে গণধোলাই দিয়ে নৌ-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে যাত্রীরা।
শরীয়তপুর থেকে চাঁদপুরগামী শাহআলী-৪ লঞ্চে ডাকাতির সময় পদ্মা-মেঘনার নৌ সীমানার কাচিকাটা এলাকায় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। চাঁদপুরের নৌ পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার সকালে শরীয়তপুর থেকে চাঁদপুরগামী যাত্রীবাহী এমভি শাহআলী-৪ লঞ্চে মেঘনা নদীর মান্দেরবাজার এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি স্পিডবোট দিয়ে ১৮ জন ডাকাত সদস্য লঞ্চে উঠে অর্ধশতাধিক যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণ, টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
তবে ডাকাতি শেষে সব ডাকাতরা চলে গেলেও একজন ভেতরে থেকে যায়। ওই সময় যাত্রীরা ওই ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। নরসিংহপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস.আই আল মামুন জানান, আটককৃত ব্যক্তির নাম বিল্লাল হোসেন (৩৫)। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকার আক্কাস খানের ছেলে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং সখিপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
তবে ডাকাতির কথা অস্বীকার করে বলেন বিল্লাল জানায় ‘আমাকে গভীর রাতে ডাকাতদল মুক্তিপন চেয়ে তুলে নিয়ে আসে। তারা আমাকে অনেক মারধরও করে। এ সময় তারা লঞ্চে ডাকাতি করে আমাকে লঞ্চে ছেড়ে দেয়। তখন যাত্রীরা আমাকে ডাকাত ভেবে মারধর করে পুলিশে দেয়।’
পুলিশ জানায়, ‘যারা ডাকাতির সাথে জড়িত, তারা খুবই চালাক প্রকৃতির। ডাকাতির সময় আটক বিল্লাল কোনো কিছুই স্বীকার করছে না। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো। ’
লঞ্চের যাত্রীরা জানান, সকাল ৮টায় শরিয়তপুরের নরিয়া ঘাট থেকে লঞ্চটি চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে কাঁচিকাটা ও রাজরাজেশ্বর এলাকার কাছে আসলে ডাকাত দল দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়। তারা বাচ্চাদেরকে নদীতে ফেলে দিবে বলে হুমকি দিয়ে অনেকের ওপর হামলা করে মোবাইল, টাকা, স্বর্ণসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। এর আগে গত এক মাসের ব্যবধানে মতলব উত্তর উপজেলা ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় মেঘনা নদীতে দুটি লঞ্চ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।