
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্কঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে প্রথম ধাপেই বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও কোভিড-১৯ এর নতুন স্টেইন ছড়ানো নিয়ন্ত্রণ কল্পে ভার্চুয়াল সভায়’ এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড মোকাবিলায় সরকারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।চুক্তি স্বাক্ষর থেকে শুরু করে টিকাদান প্রক্রিয়ার জন্য যেসব প্রক্রিয়া আছে তার জন্য স্বাস্থ্যখাত কাজ করেছে।এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থাসমুহের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আগামী জানুয়ারির শেষ দিকে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই দেশে ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ শুরু হবে। আর এই ভ্যাকসিন প্রদানে সরকারের পাশাপাশি দেশের ভালো মানের বেসরকারি খাতকেও যুক্ত করা হতে পারে।
সভায় কোভিড মোকাবিলায় দেশের বেসরকারি মেডিকেল এসোসিয়েশনের আওতাধীন চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলো গত ৫ জুন থেকে যেভাবে মানুষকে সেবা দিয়ে গেছেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনাতে অনেক কিছু থেমে গেলেও দেশের স্বাস্থ্যখাত থামেনি কখনও। আগামীতেও থেমে থাকবে না।দেশের হাজারও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন থেকে যেন একটি বছর নষ্ট হয়ে না যায়, সেজন্য সামনেই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার কাজ শুরু করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান, বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ও আনোয়ার খান মেডিকেলের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলমসহ দেশের ৭০টি বেসরকারি মেডিকেলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মন্ডলীর সদস্যরা।
বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কোভিড মোকাবেলায় তার সাহসি উদ্যোগগুলোর জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল এসোসিয়েশন যেভাবে এগিয়ে এসেছে এজন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ত্রাণমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান।