
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্কঃ গত বছরের নভেম্বরে সিরাম ইনিস্টিটিউটের সঙ্গে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ত্রিপাক্ষিয় চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী ছয় মাসে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকোর তিন কোটি ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ।
কিন্তু রোববার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা বলেন, রোববার ভারতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা তাদের টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। তবে শর্ত হচ্ছে ভারতের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা রফতানি করা যাবে না।
‘আমরা এ মুহূর্তে শুধু ভারত সরকারকে টিকা সরবরাহ করতে পারব। টিকা মজুত না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ পুনাওয়ালা আরও বলেন, ভারতের অন্তভ্যরীণ বাজারে টিকা বিক্রি করা থেকেও সেরামকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
দিনের শুরুতে সেরাম ইনস্টিটিউট এক সভায় জানায়, যেসব দেশ তাদের টিকা নিতে আগ্রহী, তাদের দেওয়ার আগে দুই মাস ভারতের তাৎক্ষণিকভাবে কী পরিমাণ টিকার প্রয়োজন, তা উৎপাদনে মনোনিবেশ করতে চায় তারা।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে এক বড় প্রতারণার শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তবে ভারতের সিরাম ইনিস্টিটিউটের সঙ্গে টিকা আমদানীর চুক্তিতে থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান নির্বাহী নাজমুল হাসান পাপন বলছেন, চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই টিকা পাবে বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও বলছে টিকা পেতে কোন বেগ পেতে হবে না বাংলাদেশকে। অপরদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাইলে টিকার বিষয়ে দিল্লির সাথে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।