
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্কঃ রাজধানীর কলাবাগানের মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহান। তার সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা।
শুক্রবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। দিহান ওই স্কুলছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে দিহান ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। সে ঘটনা লুকাতে চেয়েছিল। এজন্যই ধর্ষণের পর মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে সে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেবে। আদালতে তুলে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, মেডিক্যাল টেস্ট কিংবা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এই ঘটনার পেছনে ইন্দনদাতা হিসেবে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা।
উল্লেখ্য ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী রাজধানীর ধানমণ্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে কলাবাগানের ডলফিন গলির বাসায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত ওই ছাত্র।
ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণ হলে নির্যাতিতাকে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত নিজেই। এর মধ্যে নির্যাতিতার মাকে ফোন করে মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায় সে। হাসপাতালে আসার আগেই মেয়ের মৃত্যুর খবর পান মা।