
রকিব হাসান নয়ন, জামালপুর- ঘড়ির কাঁটায় দুপুর ঠিক ২টা, সাধারণত এই সময় সূর্য মধ্য আকাশে থাকার কথা। অথচ আকাশ দেখে মনে হচ্ছে ঠিক কিছুক্ষণ আগেই ভোর হলো।
বুধবার (২০ জানুয়ারি ) জামালপুরে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৪৭ মিনিটে। তবে দুপুর দুইটা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে জনজীবনে নেমে আসে শৈত্যপ্রবাহের মতো অনুভূতি। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। শীতের কাঁপুনিতে দরিদ্র মানুষের ভোগান্তির সীমা নেই। রাস্তায় বা শহরের বস্তিতে থাকেন এমন মানুষের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সারা দিন বাতাস”র সাথে রকমই শিশিরভেজা ছিল।
আবহাওয়া অফিসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আজ জামালপুরে সকালে তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রী ছিল।
জেলা শহরের নিম্ন আয়ের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে তাঁদের জীবনযাত্রা থমকে গেছে। কাজকর্মে গতি কমে যাওয়াই অনেকের রোজগার কমে গেছে। তিনদিন ধরে রকম ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারদিকে।
জেলা সদরের শহরের গেট পার এলাকায় রিকশাচালক ফজলুল হক বলেন, আগে তিনি ভোরে রিকশা নিয়ে বের হতেন। শীতের কারণে তা পরছেন না। অন্যদিকে রিকশায় ঠান্ডা বেশি লাগায় যাত্রীও কম পাচ্ছেন।
এদিকে, এমন ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকলে কৃষিতে ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এই সময়টায় এসে কুয়াশার কারণে বরাবরই বোরো বীজতলা ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অন্যদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের শীতের দুর্ভোগ লাঘবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে জেলা প্রশাসক।