
সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা- ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে কেনা করোনাটিকার প্রথম চালান ঢাকায় এসে পৌছেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে করোনাটিকা নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে বেক্সিমকোর স্টিকারযুক্ত নয়টি বিশেষ মিনি কাভার্ড ভ্যানে ভ্যাকসিনগুলো বিমানবন্দর থেকে নেওয়া হয় টঙ্গীতে অবস্থিত বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে
এদিকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘প্রতিটি ভ্যাকসিনের স্যাম্পল আমরা ওষুধ প্রশাসনের ল্যাবরেটরিতে পাঠাবো টেস্ট করতে। তারা ছাড়পত্র দিলে প্রতিটি জেলায় আমরা পৌঁছে দেবো। ধারণা করছি, ৪৮ ঘণ্টার পর থেকে অথবা ৪-৫ দিনের মধ্যে আমরা এই ভ্যাকসিনগুলো দেশের সব জেলায় পৌঁছে দিতে পারবো।’
বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা প্রমাণ করতে চাই, ভারতের মুম্বাই থেকে ভ্যাকসিন ঢাকায় এসেছে, বিমানবন্দর থেকে বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে (গুদামে) নেওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রতিটি ভ্যাকসিন চেক করে দেখা হবে। কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে বা ডেমেজ, শর্টেজসহ কোনো রকমের সমস্যা থাকলে, সেগুলো বেক্সিমকো ফার্মা নিয়ে যাবে। সেগুলোর দায় বেক্সিমকোর। সরকারকে আমরা নিখুঁত ভ্যাকসিন দেবো আমরা।
এখন থেকে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বেক্সিমকোর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসবে, জানান তিনি।
পাপন বলেন, এ ভ্যাকসিন পরিবহনের জন্য আমরা বিশেষ ফ্রিজার কাভার্ড ভ্যান কিনেছি। যা আমাদের আগে ছিল না। আজ নয়টি কাভার্ড ভ্যারে ভ্যাকসিন বহন করা হচ্ছে। আগামী মার্চ মাসে আরও ভ্যান আসবে।