
সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াকে আমেরিকার সঙ্গে তুলনা করলেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ৪টায় চসিকের ভোটগ্রহণ শেষে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদেরকে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় এ তুলনা করেন তিনি।
চসিক নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ‘ভোটারদের অনীহা এর একটি কারণ বলে তার মনে হয়। এখনকার নাগরিকদের কেন যেন রাষ্ট্রের প্রতি যে দায়িত্ব আছে, ভোট যে তার অধিকার, এটা তারা মনে করছেন না। কষ্ট করে ভোট দেবো, কেন যাব অন্যকে ভোট দিতে- এতে আমার কী লাভ… এ ধরনের একটা মন মানসিকতা হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘উন্নত বিশ্বে বেশিরভাগ দেশে ভোটের ক্ষেত্রে এমন হয়। আমেরিকার ক্ষেত্রে দেখবেন, সব দিক দিয়ে এত উন্নত তারা; কিন্তু ভোটের ক্ষেত্রে ভোট দিতে যায় না বেশিরভাগ মানুষ। তো আমাদের দেশেও অনেকটা ওই রকম; উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ লক্ষণ দেখা দিয়েছে। মানসিকতা বদল হয়েছে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘গণমাধ্যমে আমরা যে নির্বাচন দেখেছি, আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে রিপোর্ট পেয়েছি, তাতে বলবো ভালো নির্বাচন হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দুই কেন্দ্রে শুধু কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক তাদের ইভিএমে ভোট হোক, চায় না। আক্রমণ চালিয়েছিল। ইভিএম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। বাকিগুলোকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ভোট হয়েছে। ভোটাররা ভোট দিয়ে বাড়ি গেছেন। অধিকাংশ কেন্দ্রে ফলও হয়ে গেছে। ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র দুইটির ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।’
স্থানীয় পর্যায়ের অভিযোগ রিটার্নিং অফিসার দেখবেন উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, ‘এরপরও যেসব অভিযোগ কমিশনে পাঠাবে, সেগুলো কমিশনে উপস্থাপন করবো। কমিশন বললে তখন ব্যবস্থা নেবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘তৃতীয় বিশ্বের মতো দেশের নির্বাচনে সহিংসতা কিছু ঘটে। সে হিসেবে বলবো, বরং কমই হয়েছে। মাত্র দুই-তিনটি কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের দুষ্কৃতকারীরা এই কাজ করে। ইভিএমে ভোট হলে অনেকে মনে করে এখানে জাল ভোট দেওয়া যাবে না, তারা সাধারণত এই ধরনের আক্রমণ করে।’
সচিব বলেন, ‘চট্টগ্রামে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার জন্য ২০ হাজার আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য নিয়োজিত ছিল; কমিশনও যত রকম ব্যবস্থা নেওয়া যায় নিয়েছিল।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। শুধু চট্টগ্রামে নয়, যেকেনো বড় শহরে ভাসমান লোক থাকে, উপস্থিতি কম হয়। চট্টগ্রামে আমরা আরেকটু বেশি আশা করেছিলাম। তার চেয়ে একটু কমই হয়েছে।’