
মো. নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠিঃ রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর ও দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছরেও ঝালকাঠি জেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে। ফলে ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
আর জেলার গ্রামগঞ্জে কিছু সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে মিনার নির্মাণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ঝালকাঠি সদর, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলার বেশকিছুবশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার থাকলেও সেগুলোর কোনো যত্ন নেওয়া হয় না সারা বছরই পরে থাকে অযত্ন অবহেলায় ।
জেলায় মাধ্যমিক সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলায় মোট ৪০৪টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কোনো শহীদ মিনার নেই। সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কলাগাছ অথবা বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে দিবসটি পালন করে আসছে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে সেগুলো সারা বছর অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকে। প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারির আগে ঘষামাজা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়।
জেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায় কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনার। সেখানে ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় তাদের।
যেসকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই সেখানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ এবং অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা সকল শহীদ মিনার রক্ষণাবেক্ষনের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।