

সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও গ্রেফতার আট নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জোটের নেতাকর্মীরা সোমবার দুপুরে এই কর্মসূচি পালন করছেন।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্য থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যাত্রা শুরু করে।
প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দুই শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন এই মিছিলে।
মিছিলটি শহীদ মিনার হয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে পৌঁছালে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। এ সময় মিছিলকারীদের ব্যারিকেড সরিয়ে সামনে এগোতে দেখা যায়। পরে বিদ্যুৎ ভবনের সামনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আবার আটকে দেয়। পরে সেখানেই সমাবেশ করে ছাত্র সংগঠনগুলো।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘আমরা এমন একটি রাষ্ট্রে বাস করছি যে রাষ্ট্র মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দেয়। আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়ছি৷ সেই লড়াই থেকে আমাদের সাত সহযোদ্ধাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘আমরা আজকের এই কর্মসূচি থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই গ্রেপ্তার ছাত্র নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে ছাত্রসমাজ।’
ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বাংলাদেশে দুঃসাশন চলছে। এর শিকার লেখক মুশতাক। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাদের সাতজন সহযোদ্ধা গ্রেপ্তার হয়েছে।
‘আজকের পর আমরা আর কোনো বিক্ষোভ করব না। এরপর আমরা তালা ভেঙে ছাত্রনেতাদের মুক্ত করে নিয়ে আসব। ডিজিটাল আইন বাতিল করার জন্য আমরা নিজেদের জীবন দিয়ে দিব। তবুও আমরা এই আইন বাংলাদেশে চলতে দিব না।’
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীর বলেন, “কারাগারে লিখা থাকে, ‘রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ।’ লেখক মুশতাককে কি আলোর পথ দেখালেন জানি না৷ আজ সর্বক্ষেত্রে গেড়ে বসেছে দুঃশাসন। এটি যদি ভাঙতে না পারি তাহলে এ শাসন আরও দীর্ঘায়িত হবে। আমাদের এ নীরবতা ভাঙতে হবে।”
সমাবেশ থেকে খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার শ্রমিক রুহুল আমিনের মুক্তির দাবি জানায় ছাত্রনেতারা।