

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর: একেতো রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে প্রভাব খাটিয়ে। রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে দিতে অনুরোধ করলে উল্টো থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে ভুক্তভোগী ফেরদৌসী আক্তারের পরিবারের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর মহানগরের ২৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চতর এলাকায়।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি গত ১মাস ধরে বাড়িতে ঢুকার একমাত্র বিক্রেতা প্রদত্ত ৬ফুট রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে মুক্তার হোসেন নামের এক পরশী। বিভিন্ন সময় অনুরোধ করেও কোন কাজ না হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কালুকে বিষয়টি জানান। তিনিও সমাধানে ব্যর্থ হন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী পরিবারটি সহযোগিতা না করায়। এর পরই ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলতলী হতে চতরবাজার রাস্তার পশ্চিম চতর এলাকায় ভুক্তভোগী পরিবারটির বসবাস। তাদের সামনে বসবাস করেন মুক্তার হোসেনের পরিবার। প্রথমে ৭.৪৩ শতাংশ জমি কিনে বাড়ী করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে নিজের জায়গা দখলে নেয় মুক্তার হোসেন। আর সিটি করপোরেশন রাস্তায় উঠতে দলিলের ভাষ্যনুযায়ী জমির পূর্ব পাশ্ব দিয়া দাতার প্রদত্ত ৬ফুট প্রস্থে চলাচলের রাস্তা ব্যবহার করবেন। পরবর্তীতে দাতা তার পিছনের জমি বিক্রির জন্যে মুক্তার হোসেনের উত্তর পাশের সীমানা প্রাচীরের পাশ দিয়ে আরও ৬ফুট রাস্তা দিয়ে জমি বিক্রি করলে ভুক্তভোগী ফেরদৌসী আক্তার জমি কিনে বাড়ী করে তিন ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। শুরুতে কোন প্রকার বাধা না দিলেও মুক্তার হোসেন বর্তমানে রাস্তাটি বন্ধ করে দিলে বিপাকে পড়েন ভুক্তভোগী পরিবার।
অন্যদিকে মুক্তার হোসেন তার দলিলে রাস্তা ৬ ফুট উল্লেখ থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে মুক্তার হোসেন ১৮ ফুট প্রস্থ এবং প্রায় ৪০ফুট লম্বা পুরো জায়গাটিকেই রাস্তা দেখিয়ে নিজের কবজায় নেয়ার পায়তারা করছেন।
এবিষয়ে গত ৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) চিত্র ধারণ করতে গেলে প্রভাবশালী পরিবারের পক্ষ ফোনে করে প্রায় ২০/২৫জন যুবক হাজির করা হয়। এবং প্রতিবেদকের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি ভুলবোঝাবুঝির অজুহাত দেখানো হয়। সেই সাথে আগামী ৭দিনের মাঝে রাস্তার সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দেন দলবলে হাজির হওয়া মুক্তার হোসেনের আত্মীয় চতর বাজার এলাকার বাহার। সেই সাথে বাহার প্রতিবন্ধকতাটি সরিয়ে দেন। সময়ের কণ্ঠস্বরের কাছে বাহার সচিত্র প্রতিবেদনে ১২ফুট রাস্তা নিজেদের কেনা বলে দাবি করলেও দলিলে দাতা প্রদত্ত ৬ফুট রাস্তার উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় কাউন্সিলরের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে, রফিকুল ইসলাম কালু প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি নিয়ে বসা হয়েছিল তবে তারা সমস্যা সমাধান করার জন্যে এগিয়ে না আসায় সমাধান হয়নি। তবে তিনি বিষয়টি সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।
ঘটনার পর উল্টো গাজীপুর সদর মেট্রো থানায় গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী মুক্তার হোসেন।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মেট্রো সদর থানার উপ পরিদর্শক ফোরকান মোল্লার কাছে জানতে চাওয়া হলে সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, আমি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। মুক্তার হোসেন তার সীমানায় জমি কম থাকার অভিযোগ করেছেন। আর এ সমস্যা সমাধানে উভয়ের উপস্থিতিতে সরকারী আমিন দিয়ে জমি পরিমাপের পর দ্রুত বিষয়টি সমাধান করার জন্যে বলা হয়েছে।