

মো. সানোয়ার হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি- টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর সদরে মশার উপদ্রব বৃদ্ধিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। পৌরবাসীকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে ওষুধ ছিটানো শুরু হলেও মশা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এতে মশাবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন পৌরবাসী।
পৌরবাসীরা বলেন, সম্প্রতি মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নাগরিক জীবন। বাসা-বাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিসসহ সর্বত্র মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কেউই। মশার কয়েল, স্প্রে সবকিছুই মশার কাছে হার মানছে।
পৌরসভায় ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নকর্মী থাকলেও কতিপয় নাগরিক ও ব্যবসায়ী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে। এতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে।
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই বাসা-বাড়িতে মশা প্রবেশ করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে। মশা নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ মশক নিধন স্প্রে ছিটানো কার্যক্রম শুরু করলেও মশা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বাড়ি-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে ইলেকট্রিক ব্যাট, অ্যারোসল, কয়েল জ্বালিয়েও মশার অত্যাচার থেকে পৌরবাসী রক্ষা পাচ্ছে না।
পৌর সদরের ছোহা ফুড ভিলেজ এর পরিচালক মো. কালাম খান বলেন, মশার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। ঘরোয়াভাবে মশা নিধন করা যাচ্ছে না। এতে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় দুপুরের পর থেকে বাসায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতেও মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার জানান, পৌরবাসীকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যে দুইটি ওয়ার্ডে মশক নিধন স্প্রে ছিটানো শুরু হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সব জায়গাতে ছিটানো হবে।
মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে তিনি নাগরিকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, যততত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মাধ্যমে তা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখবেন। উন্নত নাগরিক সেবায় পৌর কর্তৃপক্ষ সর্বদা তৎপর রয়েছে।