

সাখাওয়াত হোসেন জুম্মা, বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে সাবিনা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূর মৃতদেহ ঘরে রেখে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
শনিবার (২০ মার্চ) বেলা দশটার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, নয়মাস আগে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম শফির সঙ্গে সাবিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। এমনকি স্ত্রীর পরকীয়া রয়েছে বলেও সন্দেহ করতেন শফিকুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার বিকেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে সাবিনাকে তার স্বামী মারধরও করেন।
ওইদিন রাত আটটার দিকে দেবর রেজাউলের ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় সাবিনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বাড়ির লোকজন। এরপর রশি কেটে সাবিনাকে মাটিতে নামিয়ে ঘরের মধ্যে লাশ ফেলে রেখে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম ও স্বজনরা পালিয়ে যান।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন বিকেলে ওই গৃহবধূকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এছাড়া গলায় ফাঁস দেওয়ার চিহ্নও রয়েছে। তাই মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হওয়ায় গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই কেবল মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।