

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গ্যাজেট ভুক্ত শত্রু সম্পত্তিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থায়ী পাকা স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ সাবেক যুবলীগ নেতা আফসার উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার(২১মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায় কাপাসিয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের আওতাভুক্ত রায়নন্দা মৌজায় স্থায়ী স্থাপনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলা যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আফসার উদ্দিন। তবে এ জায়গায় স্থাপনা নির্মাণে নিষেধ করেছিল কাপাসিয়া ভুমি অফিস এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আফসারকে ভুমি অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ভূমি অফিসের নিষেধ অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন আফসার। দখলকারী আফসার উদ্দিনের বাড়ী কাপাসিয়া বরুন এলাকায় এবং রায়নন্দা এলাকায় তার শুশরবাড়ী।
শত্রু সম্পত্তিতে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে কাপাসিয়া ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, রায়নন্দা মৌজায় ৪২নং খতিয়ানে এস এ ৫ নং এবং আর এস ১৪৪নং দাগে আফসার উদ্দিন যে স্থাপনা নির্মাণ করছেন তা এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। এরপর কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই। বর্তমান চলমান কাজের চিত্র তার সামনে তুলে ধরা হলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা আজ সোমবারও স্থাপনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন আফসার উদ্দিন।
স্থানীয় কয়েকজন নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ভুমি অফিস থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে, নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও দিনের আলোতে ভুমি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগিতা ছাড়া কাজ চালিয়ে যাওয়ার সাহস পাবার কথা না। তাদের মতে, সরকারী সম্পত্তি গুলো ভুমিদস্যুদের পেটে যাচ্ছে ভুমি অফিসের গুটি কয়েক দূনীতিবাজদের কারণে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আফসার উদ্দিন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আমি যেখানে নির্মাণকাজ করছি সেটা আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। আর এস মুলে এই জমির মালিক মহেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি বিক্রি করেন ইয়াকুব আলী নামে একজনের কাছে। যার কাছ থেকে চলতি বছর আমি ৮ শতাংশের কিছু বেশি জমি কিনেছি। যার খতিয়ান-২৩, মৌজা: রায়নন্দা ,আর এস দাগ নং-১১ চালা জমি। প্রসাশনের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গ্রহনযোগ্য কোন উত্তর দিতে পারেননি।
শত্রু সম্পত্তিতে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ প্রসঙ্গে কাপাসিয়া উপজেলা এসিল্যান্ড তানভীর ফরহাদ শামীমের সাথে গতকাল (২১ মার্চ) দেখা করতে গেলে তিনি ছুটিতে থাকায় মুঠোফোনে সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, আগামীকাল অফিসে আসলে আমি বিস্তারিত বলতে পারবো। তবে মোবাইলের ক্ষুদে বার্তায় তিনি জানিয়েছিলেন আমি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করিয়েছি। আর যারা কাজ করছে তাদের জমির কাগজপত্র নিয়ে অফিসে আসতে বলেছি। যাচাই করে যদি সরকারী স্বার্থ পাওয়া যায় বা অর্পিত সম্পত্তি হয়ে থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।