

বিনোদন ডেস্ক- এফডিসি থেকে ভোটাধিকার হারানো শতাধিক শিল্পীদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম ওরফে শিমুও ছিলেন। এ নিয়ে তিনি একাধিকবার জায়েদ খানের সাথে বিবাদে জড়িয়েছিলেন।
সোমবার রাতে শিমুর মরদেহ উদ্ধারের পর সমিতির পদ হারানো একাধিক শিল্পী হত্যাকাণ্ডের পিছনে জায়েদ খানের হাত থাকতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে গণমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন।
যদিও শিমুর পরিবার বলছে, জায়েদের বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। নিহত শিমুর ভাই বোনের হত্যায় তার স্বামী নোবেলকেই দায়ী করছেন।
জায়েদ খান বর্তমান শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। এবারও একই পদে নির্বাচনে লড়ছেন। তার দাবি, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীরা ঘটনাটিকে পুঁজি করছে এবং তাকে শিমু হত্যাকাণ্ডে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার ভোরেই গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন জায়েদ খান। সেখানে নিজের বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্য চলাকালীন লাইভেও আসেন এই নায়ক।
জায়েদ খান বলেন, ‘শিমুর হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমি। আমি র্যাবকে ধন্যবাদ জানাই যে, তারা ইতোমধ্যে আসামিকে ধরে ফেলেছে। গতকাল বিকেলে আমি যখন শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত তখন শিমুর ভাই আমাকে পাশে ডেকে নিয়ে বললেন, জায়েদ ভাই, কাল থেকে শিমুকে খুঁজে পাচ্ছি না। কলাবাগান থানায় জিডি করেছি। আপনার সহযোগিতা চাই। আমি তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আমার ভাই নাজমুলকে বিষয়টি জানাই। শিমুর ফোননম্বর দিয়ে তার সর্বশেষ লোকেশনটা কোথায় তা জানতে বলি। এরপরেই নাজমুল জানান, কেরানীগঞ্জে শিমুর ডেডবডি পাওয়া গেছে।‘
জায়েদ খান বলেন, ‘ঘটনার পর পর আমাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বলা হচ্ছে, ১২দিন আগে শিমুর সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছে। অথচ গত দুই বছর ধরে আমার সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নাই।‘
কেন তাকে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে প্রশ্নে জায়েদ খান বলেন, চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব নোংড়ামি চলছে আর অপপ্রচার হচ্ছে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সঙ্গে এই হত্যার কি সম্পর্ক? অনেকেই শিল্পীর ভাইয়ের বাসায় গিয়ে তাকে আমার বিরুদ্ধে বলার জন্য প্ররোচনা দিয়েছেন। নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ঘটনাটিকে পুঁজি করেছে।
তার বিরুদ্ধে সন্দেহের বিষয়ে বলেন, ‘তিন-চারটা ছেলেমেয়ে যাদের নাম বলতে হয়- ফিরোজ শাহী ও সাদিয়া মির্জাসহ আরও কয়েকজন। এর মধ্যে সাদিয়া মির্জা নোংরামি শুরু করেছে। ইউটিউবে গেলে দেখা যায় ‘আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে জায়েদ খান’ উল্লেখ করে সে ছড়িয়ে দিচ্ছে, আসলে এসব নোংরামির অবসান হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
জায়েদ খান বলেন, আমি নামধরেই বলতে চাই যে রিয়াজ ভাই কাঞ্চন ভাই আপনারা সম্মানিত মানুষ। এই নোংরামীগুলো কি আপনারা দেখছেন না? এগুলো কেন বন্ধ করছেন না আপনারা? আমি কাঞ্চন ভাইকে আবারও বলবো, আপনি একুশে পদক পাওয়া সম্মানিত লোক, এই নোংরামি বন্ধ করেন। এই রিয়াজ ভাই আজকে অভিনয় করে মেকি কান্না কাঁদতেছে। অথচ এই শিমু-খোকনদের মত শিল্পীদের সহযোগী তালিকায় নেয়ার সময় তো কাঞ্চন ভাই, রিয়াজ ভাই, ফারুক ভাই, আলমগীর ভাই সবাই ছিলেন। এটা সবাই জানে। তখন তো তারা কেউ কোনো আপত্তি করেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে শিমু নিখোঁজ ছিলেন।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী শিমুর ১৯৯৮ সালে সিনেমায় অভিষেক হয়। তিনি প্রায় ২৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি একটি টিভি চ্যানেলের মার্কিটিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন।