

মামুনুর রশিদ, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি- ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার মূল সড়কে ব্রিজের দু’পাশ দখলে নিয়ে বসছে অবৈধ দোকান। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার মূল সড়কের উপর সুতিয়া নদীতে স্থাপিত ব্রিজ দখলে নিয়ে কিছু লোক অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছে। এতে করে পথচারীদের পারাপারে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যানবাহনের চাপ বাড়লেই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
ব্রিজের দু’পাশে শাড়ি, লুঙ্গিসহ বিভিন্ন পোষাক পরিচ্ছদের দোকানও রয়েছে। এখানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন মসলা জাতীয় ভোগ্যপণ্যও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও দ্রব্যাদিও বিক্রি হয় বলে জানিয়েছে পথচারীরা।
এছাড়াও ফুটপাত দখলে নিয়ে কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিয়মিতই অবৈধ দোকান নিয়ে বসে। এই দোকানগুলোর কারণে সাধারণ পথচারীরা মূল সড়ক ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। এতে করে মূল সড়কে চলাচলকারী যানবাহন পড়ছে তীব্র জ্যামে। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
বাজার করতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা আমিন বলেন, ‘সপ্তাহের প্রতিদিনই দোকানপাট বসানো হয় এখানে। এই সড়কে অতিমাত্রায় যানবাহন চলাচল করে। এ কারণে নির্বিঘ্নে পায়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে যায়। এভাবে অস্থায়ী দোকান-পাট বসানোয় যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।’ এর স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি’।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘এই অস্থায়ী দোকানগুলোর কোনো অনুমোদন নেই।’ ইজারাবিহীন এই অস্থায়ী দোকানগুলো কার মদদে চলে এবং প্রশাসন দেখেও কেন ব্যবস্থা নেয় না, তা চলাচলকারীদের মনে বড় একটি প্রশ্ন ?
পঞ্চাশোর্ধ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমার বাজারে খুব বেশি আসা হয়না। আজ পরিবারের বিশেষ প্রয়োজনে আসতে হলো। তবে পায়ে হেঁটে এই ব্রিজ পাড়ি দিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এখানে রাস্তার পাশে দোকান থাকাটা সমীচীন নয়।’
পথচারী মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘এই ব্রিজের ওপর দোকানপাট বসার কারণে দীর্ঘ যানজট তৈরি হচ্ছে। এ কারণে আমাদের মতো পথচারীদের চলাচল করা কষ্ট হয়ে পড়ে। তবুও কি আর করা। প্রয়োজনের তাগিদে চলাচল তো করতেই হবে।’
রিকশা চালক আলম মিয়া বলেন, ‘মানুষ মূল রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করে। হর্ণ বাজালেও তাদের সরার জায়গা থাকেনা। মূল রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা ও ভারি যানবাহনের কারণে ৫ মিনিটের রাস্তা ৩০ থেকে ৪০ মিনিটে অতিক্রম করতে হয়।’
বিক্রেতা কয়েকজন জানান, ব্রিজ ও ফুটপাতের ওপর বসে দোকানদারি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও কি আর করা। জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে বসতে হয়।
ত্রিশাল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান জানান, যেহেতু এটি পৌরসভার এরিয়া আমি পৌরসভার মেয়রকে বিষয়টি অবগত করেছি। উনার সহযোগিতা নিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।