

কবিতাটি লিখেছেন- মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান শাহীন
আল কুরআনের পাতায় পাতায়
সংখ্যাতত্ত্বের মিল-যে,
বিরাশি বার নামাজ তাগিদ
জান্নাত খুশি দিল-যে।
জাকাত দানে মালের বরকত
বত্রিশ বার এসেছে,
ন্যায় -সমতার অর্থনীতি
দুখী জনা হেসেছে।
এক শ পঁয়তাল্লিশ বার
জীবন-মরণ কথা,
মধুর বাণী মনের মাঝে
আনে কোমলতা।
এক শত পনেরো বার-ই
দুনিয়া-আখিরাত,
হিংসে- বিভেদ ভুলে এসো
পুণ্যে রাখি হাত।
জান্নাত এবং জাহান্নামের
কথা -সাতাত্তর
‘বিপর্যয় ও ‘কৃতজ্ঞতা’
সমান পঁচাত্তর।
এক শত চৌদ্দ সূরার
এক হাজারো আয়াতে
আদেশ নিষেধ ভয় ভীতি
চলা ফেরা হায়াতে-
হাজার খানেক ঘটনারই
বিবরণ আছে যে,
জান্নাতি ও জাহান্নামী
ইমানে বাঁচে যে।
দু’শত পঞ্চাশ আয়াতে
হারাম-হালাল উক্তি,
শবে কদরের মহিমাতে
আল্লাহ শানে ভক্তি।
আসমানের-ই সৃষ্টি কথা
সাত বার এসেছে,
সাত আসমান কথাটি ও
সাত বার ভেসেছে।
‘তিনি বললেন’ ‘তারা বলল’
তিন শত বত্রিশ,
ইমান -কুফর পঁচিশ বার
চন্দ্র -সূর্য তেত্রিশ।
শয়তান ও ফেরেশতা আটাশি
শীতল – গরম পাঁচ,
পবিত্র ও অপবিত্র সাত
মিছে পাপের নাচ।
কোরআন তত্ত্ব শেষ হবে না
সারাজীবন শিখলে-ও,
মহাসাগর শুকিয়ে যাবে
আয়াত মর্ম লিখলে-ও।
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার
আল্লাহ ভালো জানেন
রাসূল শানে দরুদ পড়ে
ঈমান সবে আনেন।
সংখ্যাতত্বের ঐশীগ্রন্থ
দোজাহানের মুক্তি,
সহজ সরল জীবন ধারায়
শান্তি আসল চুক্তি।