

নয়ন দাস, শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের স্টেডিয়ামটির দর্শক গ্যালারীসহ নতুন নতুন স্থাপনা নির্মাণের ফলে দেশের আধুনিক স্টেডিয়ামে রূপান্তরিত হচ্ছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে. নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্টেডিয়ামটি।
নতুন এই গ্যালারি ও নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি হলে নতুন সাজে সাজাবে এই স্টেডিয়ামটি। এতে খুশি জেলার ক্রীড়া প্রেমীরাও।
স্থানীয় বাসিন্দা ও স্টেডিয়াম সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর শহরের ধানুকায় ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টেডিয়ামটি। পরবর্তীতে স্টেডিয়ামটির নাম দেওয়া হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে. নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্টেডিয়াম। এটিই জেলার একমাত্র স্টেডিয়াম।
যদিও দীর্ঘদিন উন্নয়ন না হওয়ায় বেহাল দশা ছিল স্টেডিয়ামটির। গত অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে চারপাশে ১১০০ ফুট দ্বিতল গ্যালারীসহ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এরমধ্যে আধুনিকমানের দর্শক গ্যালারী তৈরিতে নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
ঢাকার মল্লিক কনস্ট্রাকশন নামে একটি ভালো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই কাজ বাস্তবায়ন করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়। এতে করে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে শরীয়তপুরবাসী আরেকটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে।
ধানুকা এলাকার বাসিন্দা পাবেল বেপারী, সাহিন বেপারী, সোহাগ ঢালী সহ অনেকেই বলেন, নতুন গ্যালারি ও নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির কাজ শেষ হলে নতুন সাজে সাজাবে এই স্টেডিয়ামটি।
তবে এই বিশাল ব্যয়বহুল কাজের সঠিক বাস্তবায়ন হলেই স্টেডিয়াম ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য পূরণ হবে। তবে কোন ভাবেই যেন কাজে তদারকির অভাবে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় ক্রীড়া প্রেমীরা।
নির্মান কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মল্লিক কনস্ট্রাকশনের স্বত্তাধিকারী মো.ইলিয়াছুর জামান বলেন, বাংলাদেশে আধুনিক মানের কয়েকটা স্টেডিয়াম নির্মানের কাজ শুনামের সাথে ইতোমধ্যে শেষ করেছি। আর শরীয়তপুরের স্টেডিয়াম হলো আমার নিজ জেলার স্টেডিয়াম। তাই এখানে কাজের মান আমি নিজে তদারকি করছি।এই স্টেডিয়ামটি নির্মান হলে ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা আরও ভালো কিছু করার সুযোগ পাবে। এছাড়া শরীয়তপুরে আরও দুই উপজেলায় দুটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মানের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলেও জানান ঠিকাদার।
এদিকে- নির্মাণকাজ দেখতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে দর্শক গ্যালারীর গুরুত্বপূর্ণ কাজ। চারপাশের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির কাজ অনেকটা শেষের পথে। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ ভাগ কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পরিষদের প্রকল্প প্রকৌশলী শিবুলাল খাসকেল বলেন, সুন্দর ভাবে নির্মানকাজ চলছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর একপাশের কাজ শেষ হয়েছে। তবে মাঠের মধ্যে পুরোনা একটা ঝুকিপূর্ণ ভবন এখনও নিলামের কাজ শেষ না হওয়ায় নির্মান কাজ কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।
শরীয়তপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে. নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্টেডিয়ামের ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক পারভেজ হাচান বলেন, স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ তদারকিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটির সাথে সমন্বয় করে নির্মান কাজ করার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে।