

সময়ের কণ্ঠস্বর, মাগুরা: মাগুরায় নিহত স্কুলছাত্রীকে প্রথমে মুখ চেপে ধর্ষণ করা হয়। বাঁচার আকুতি জানালে ধারালো ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করে। গ্রেফতার হাসান শেখকে (২৩) সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে র্যাব-৬ এর কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
রোববার (২০ মার্চ) সকাল ১০টায় মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৩ নং শ্রীকোল ইউনিয়নের হাট শ্রীকোল গ্রামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
হাসান শেখ (২৩) শ্রীকোল গ্রামের ফজলুক শেখের ছেলে। তিনি বিবাহিত ও পেশায় নসিমন চালক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাজিউর রহমান জানান, ১৭ মার্চ ‘জাতীয় শিশু দিবস’র দিনে বাড়ির পাশে নদীর চরে নিজেদের একটি রসুনের ক্ষেত দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শ্রীকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রাজিয়া খাতুন (১২)। পরদিন ১৮ মার্চ দুপুরে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরে নদীর পাশে একটি বাঁশ বাগানের নিচে রাজিয়ার মরদেহ দেখতে পায়। তখন পুলিশকে খবর দিলে শ্রীপুর থানা পুলিশ ওই দিন বিকেলে রাজিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ, সিআইডি ও র্যাবের কর্মকর্তারা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা সহ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ ও খুনিকে খুঁজে বের করতে মাঠে নামে। শনিবার র্যাব-৬ এর সদস্যরা খুনি মো. হাসান শেখকে আটক করতে সক্ষম হয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনি হাসান নিজেকে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, ওই স্কুলছাত্রীকে প্রথমে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয়। এরপর মেয়েটি বাঁচার আকুতি জানালে তাকে ব্লেড দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করেন হাসান। হত্যা করার পরও পাষণ্ড হাসান মেয়েটিকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করেন।
খুনি হাসান আরও জানায়, অনেক আগে থেকেই তিনি রাজিয়াকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। নদীর ধারে হাসান মাঝে মধ্যে গাঁজা সেবন করতেন। ঘটনার দিন রাজিয়াকে একা পেয়ে তিনি কৌশলে রসুন ক্ষেত থেকে রাজিয়াকে মুখ চেপে ধরে পাশের বাঁশ বাগানের নিচে এনে ধর্ষণ করেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে হাসান একাই জড়িত বলে র্যাব সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে।