

কক্সবাজার প্রতিনিধি: গর্ভবতী মায়ের সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের গাল কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে কর্তব্যরত ডাক্তারের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৯ মার্চ) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে, ওই প্রসূতি সিজার করাতে গিয়ে চরম অবহেলার শিকার হয়েছেন। এমনকি তার সাথে দুর্ব্যবহারও করেছেন চিকিৎসকরা।
নবজাতকের গাল কাটা একটি ছবির ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে নিন্দার ঝড় উঠে। এতে করে হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন অনেকে।
জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার কাকরার রেজাউল করিমের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সারজিনা আকতারকে ১৯ মার্চ রাতে সদর হাসপাতালে প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরদিন রোববার রাতে তার সিজার করা হয়। সিজারের সময় ছুরির আঘাতে নবজাতকের গালের একাংশ কেটে যায়।
রোগী সারজিনা আকতার অভিযোগ করেছেন, সিজার করাতে গিয়ে তিনি চরম অবহেলার শিকার হয়েছেন। এমনকি তার সাথে দুর্ব্যবহারও করেছেন ওই চিকিৎসক।
ওই সময় পাশে থাকে এক রোগীর স্বজন জানিয়েছেন, সিজার করার জীবন-মৃত্যু সন্ধিক্ষণ হলেও চিকিৎসক-নার্সদের কাছে তার কোনো গুরুত্ব নেই। তারা অত্যন্ত অবহেলা করে সিজারটি করেছিলেন। আবার গাল কেটে যাওয়ার বিষয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন।
তবে কোন চিকিৎসক সিজার করেছেন সে ব্যাপারে জানতে প্রসূতি ওয়ার্ডে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ওই রোগীর ফাইল দেখাতে পারেনি দায়িত্বরত নার্স।
এদিকে নবজাতকের গাল কেটে ফেলাকে প্রথমে সামান্য বিষয় বলেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুমিনুর রহমান। তবে পরে এ ঘটনায় ওই চিকিৎসককে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রশাসনিক দপ্তরের অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসক-নার্সরা দায়িত্বে অবহেলা করেন। এমনকি রোগীদের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও তারা দায়িত্বে অবহেলা করেন। এই নিয়ে প্রায় রোগী ও স্বজনদের সাথে চিকিৎসক-নার্সদের বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে।
নবজাতের গাল কেটে ফেলার ঘটনাটিও অবহেলার কারণে ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের উপরের চিত্র উন্নতি হলেও চিকিৎসক-নার্সদের আচরণের পরিবর্তন হয়নি বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।