

সময়ের কণ্ঠস্বর, সাভার: ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। স্বাধীনতার এই ৫১ বছর উদযাপনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। এ উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তারা।
শনিবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৭টার দিকে প্রাঙ্গণটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠানসহ নানা বয়সের লোকজন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আশেপাশের এলাকা ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। ছোট ছোট শিশুরা তাদের বাবা মায়ের হাত ধরে এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। সবাই লাল সবুজের আবহে স্মরণ করছেন বীর শহিদদের।
তারা বলছেন, বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেক, তবে স্বপ্ন পূরণে পেরোতে হবে আরো অনেকটা পথ। দ্রব্যমূলের লাগাম টেনে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছাতে হবে খেটে খাওয়া মানুষের ঘরেও।
স্মৃতিসৌধে আসা নাঈম হাসান নামে এক তরুণ বলেন, এই দেশটাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। কিন্তু দুর্নীতি গ্রাস করে ফেলেছে। দুর্নীতির কারণে অনেক দেশ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশটাকে আমরা সেরকম দেখতে চাই না। এ জন্য দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। তবেই একমাত্র স্বাধীনতা দিবসের উদ্দেশ্য সফল হবে।
ভোর থেকে অপেক্ষা করে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেছেন কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। তাদের একজন রবিউল ইসলাম মিলন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে চাকরিতে প্রবেশে মোটা অংকের ঘুষ ও স্বজনপ্রীতি। চাকরিতে প্রবেশে দুর্নীতি ঠেকাতে না পারায় ওই রেস সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাধীনতা দিবসের শপথ সেটাই হওয়া উচিত বলে মনে করি।
মফিজুল রহমান নামে এক বৃদ্ধ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মেলেনি প্রত্যাশার অনেককিছু। শুধু বেড়েছে অভাব আর অভাব। সরকারের উচিত মানুষকে ভালো রাখতে বৈষম্য দূর করা। সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে তা সব মানুষের কাছে পৌঁছানো।