

আব্দুল লতিফ রঞ্জু, পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে অন্তত ১০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত গরু গুলোর বর্তমান বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকার উপড়ে বলে দাবী করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ খামারীরা। একের পর এক গরুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার গরুর খামারীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের চিরইল গ্রামের জহুরুল ইসলামের ১টি, আব্দুল মমিনের ২টি, আবু তালেবের ২টি, জামরুল ইসলামের ১টি, সাড়োরা গ্রামের মিজানুর রহমানের ২টি, জবেরপুর গ্রামের মুঞ্জিল হোসেনের ১টি, ইচাখালীর যৌথ মালিকানাধীন ১টি খামারের ১টি সহ মোট ১০ টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সাড়োরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের গর্ভবতী গাভী আক্রান্ত হলে বাছুরের মৃত্যু হয়েছে। জামরুলের আরেকটি গরু আক্রান্ত হয়েছে।
স্থানীয় পশু চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম হাফিজ জানান, গরু গুলো দেখে মনে হয়েছে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত ছিল। আক্রান্ত হবার পর হাপাচ্ছিল এবং সামনে থেকে পেছনে অথবা পেছন থেকে সামনের দিকে ঝুঁকে পরছিল। জবেরপুর গ্রামের মুঞ্জিল হোসেন জানান, “আমার দুইটি গরু ছিল। তার মধ্যে একটি মারা গেল। গরুটি মাঝে মধ্যেই কুকরে (বাঁকা হয়ে) উঠছিল। পেছন দিক হয়ে পরে ছট ফট করছিল। মুখ দিয়ে লালা ঝরছিল। এক পর্যায়ে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। আক্রান্তের তিন দিনের মাথায় মরে যায় গরুটি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, আমরা মৃত গরু গুলোর প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জ ও ঢাকায় পাঠিয়েছি। পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফল পেলে গরু গুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। অন্য গরু আক্রান্ত রোধে প্রয়োজনীয়মব্যবস্থা নিতে পারবো। আপাতত খামারীদের সবুজ ঘাস পরিবেশন বন্ধ রাখতে
পরামর্শ দিচ্ছি।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে আমি দ্রুত খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।