

সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের ভুক্তভোগী গ্রাহকদের টাকা ফেরতে এবং এই প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থপাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
ই-অরেঞ্জের পাচার হওয়া টাকা ফেরতে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং টাকা পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা, আগামী ৪ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টকে জানাতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্ট তার রুলে ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের টাকা আত্মসাত করে যারা বিদেশে পাচার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। সেই সাথে পাচার হওয়া টাকা উদ্ধার করে গ্রাহকদের কেন ফেরত দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল ৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার ৫৪৭ গ্রাহক। রিটে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাওয়া হয়েছে।
তারেক আলমসহ পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের পক্ষে ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম এ রিট আবেদন দায়ের করেন। দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করা অনলাইন শপ ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে গ্রাহকরা টাকা নিয়ে সময় মতো পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ তোলেন।
পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এখন কারাগারে রয়েছেন।