

সময়ের কন্ঠস্বর, ঢাকা : রাজধানীর নিউমার্কেটে দোকানকর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। কাউকে বিশেষ সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনোদিনও কাউকে গ্রেপ্তার করে না।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বকশিবাজারে কারা কনভেনশন সেন্টারে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। নিউমার্কেটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুটো খুনের মামলা হয়েছে। ভাঙচুরের মামলা হয়েছে। এগুলোতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় না। তাই প্রমাণের ব্যাপার আছে, তদন্তের ব্যাপার আছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা কোনোদিনও ঘটনার সত্যতা না পেলে কাউকে গ্রেপ্তার করে না।
গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল ফাস্টফুড নামের যে দুই দোকানের কর্মচারীদের দ্বন্দ্ব থেকে ওই দিন রাতে নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত, সেই দোকান দুটি সিটি করপোরেশন থেকে মকবুলের নামে বরাদ্দ রয়েছে। তবে কোনো দোকানই মকবুল নিজে চালাতেন না। রফিকুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম নামে দুজনকে ভাড়া দিয়েছেন দোকান দুটি। রফিকুল ও শহিদুল আবার পরস্পরের আত্মীয়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ সেদিন রাতে আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরদিন সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
এছাড়াও সংঘর্ষের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী।
নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে। দুই মামলাতে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা মকবুল হোসনসহ ২৪ জনের নামোল্লেখ আছে। বাকিরা অজ্ঞাত আসামি।
এছাড়াও সংঘর্ষে নিহত নাহিদ ও মোরসালিন পরিবারের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয় এতে ৩৫০ জনকে অজ্ঞতানামা আসামি করা হয়েছে। হত্যা মামলা দুটির তদন্ত পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আর বাকি দুটি মামলা তদন্ত করছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।